সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে ২০২৩ সালের এই সূচক প্রকাশ করেছে।
সূচকে ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম। এ বছর এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫ দশমিক ৩১। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তুলনামূলক সংকুচিত বলে আরএসএফ জানিয়েছে।
২০২২ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২তম। গত বছর সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬ দশমিক ৬৩।
এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো ছিল। ২০২১ সালে ১৫২তম আর ২০২০ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম।
মোটা দাগে সারা বিশ্বে সাংবাদিকতার পরিবেশ দশটি দেশের মধ্যে সাতটিতেই ‘খারাপ’ এবং মাত্র তিনটিতে ‘সন্তোষজনক’ বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আরএসএফ।
এবারের সূচকে গত বছরের মতো সবার শীর্ষে আছে নরওয়ে। দেশটির স্কোর ৯৫ দশমিক ১৮। সূচকে দ্বিতীয় স্থানে আছে আয়ারল্যান্ড। ডেনমার্ক ৩য়, সুইডেন ৪র্থ, ফিনল্যান্ড ৫ম, নেদারল্যান্ডস ষষ্ঠ, লিথুয়ানিয়া সপ্তম, এস্তোনিয়া ৮ম, পর্তুগাল ৯ম আর তিমোর লেস্তে ১০ম স্থানে রয়েছে।
সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত। তারা এবার ১৬১তম অবস্থানে আছে। অন্যদের মধ্যে আফগানিস্তান ১৫২তম, পাকিস্তান ১৫০তম, শ্রীলঙ্কা ১৩৫তম, মালদ্বীপ ১০০তম, নেপাল ৯৫তম এবং ভুটান ৯০তম অবস্থানে আছে।
অন্যদিকে, বিশ্বে মুক্ত গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া (১৮০তম)। দেশটির স্কোর ২১ দশমিক ৭২।
সূচকে সবচেয়ে খারাপ দেশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন (১৭৯তম)। তৃতীয় ভিয়েতনাম (১৭৮তম), চতুর্থ ইরান (১৭৭তম), পঞ্চম তুর্কমেনিস্তান (১৭৬তম), ষষ্ঠ সিরিয়া (১৭৫তম), সপ্তম ইরিত্রিয়া (১৭৪তম), অষ্টম মিয়ানমার (১৭৩তম), নবম কিউবা (১৭২তম) এবং ১০ম স্থানে আছে বাহরাইন (১৭১তম)।
সূচকে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে রাশিয়া (১৬৪তম), তুরস্ক (১৬৫তম), মিসর (১৬৬তম), ইরাক (১৬৭তম), ইয়েমেন (১৬৮তম), হন্ডুরাস (১৬৯তম), সৌদি আরব (১৭০তম)।
বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশ মূল্যায়ন করে প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে আরএসএফ। প্যারিসভিত্তিক এই সংগঠন বলেছে, বিশ্বের ৩১টি দেশে মুক্ত সাংবাদিকতার পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’, ৪২টি দেশে ‘কঠিন’, ৫৫টি দেশে ‘সমস্যাযুক্ত’ এবং ‘ভালো’ অথবা ‘সন্তোষজনক’ ৫২টি দেশে।