আগামী অক্টোবর মাসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সে হিসেবে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
মঙ্গলবার (২ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব তথ্য দেন তিনি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আগামী বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটের সম্ভাব্য সময় ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সব দলকে নির্বাচনে আনতে ইসি জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধীজোটের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা ভোটে অংশ নেবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী সংসদ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সে হিসেবে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
বাংলাদেশ সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়েও কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ-এর প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। শুধু সরকারের সমালোচনা না করে বিএনপির মহাসচিব ইসলাম মির্জা ফখরুল ইসলামকে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক কী বলছে তার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার অব্যাহত থাকা প্রয়োজন, সেটা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে পরিষ্কার।
সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের ৯ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের অনেকগুলো দাবি যৌক্তিক এবং দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি সম্ভব। এর মধ্যে নিয়মিত বেতন-ভাতা না দেওয়া এবং বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা– এই দাবিগুলো দ্রুত সময়ে মেনে নেওয়া সম্ভব। এজন্য আমার মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটিকে কোন সংবাদপত্রে নিয়মিত বেতন দেওয়া হয় না তার একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেব। তাদের প্রতিবেদনের পর সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো পূরণ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এসময় সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।