ঢাকা ও গাজীপুরে আলাদা দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। দুটি বিস্ফোরণই হয়েছে সোমবার (১ মে) সকালে। এর মধ্যে গাজীপুরে একটি কারখানায় কম্প্রেশার রুমে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ২১ জন দগ্ধ হয়েছেন। আর ঢাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে গেন্ডারিয়া এলাকায়। সেখানে গ্যাসের লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিন জনসহ মোট আটজন দগ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা মেইলের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাশিমপুরের জরুন এলাকায় কটন ক্লাব বিডি কারখানায় কম্প্রেশার রুমে গ্যাস লিকেজ থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে কারখানাটির ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল আটটার দিকে কাশিমপুরের জরুর এলাকার মন্ডল গ্রুপের কটন ক্লাব বিডি নামে ওই কারখানার কমপ্রেসার রুমে গ্যাস-লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানাটির স্টাফসহ অন্তত ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিমর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত দগ্ধদের নামপরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া তাদের কার কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তাও জানা যায়নি।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা এলাকায় গ্যাসের লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ আটজন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন- আব্দুর রহিম, তার মেয়ে মিম আক্তার, নাতনী আলিফ, পথচারী সোহেল, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ আলী হোসেন, রাসেদ মিয়া, মিজানুর রহমান ও সাহারা বেগম। দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, গেন্ডারিয়ায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের চিকিৎসা চলছে।
দগ্ধ আব্দুর রহিমের ছেলে আল আমিন জানান, তাদের বাসার সামনের সড়কে গ্যাসের লাইন মেরামতের কাজ করছিলেন তিতাসের লোকজন। এসময় তার তিন স্বজন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করেন।