বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আবার সেই পুরনো কায়দায় আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আবার মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে যেন ক্ষমতায় আসতে পারে এবং তারা যেন আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে- সেজন্য এখন থেকেই তারা হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে চায়।
মহান মে দিবস উপলক্ষে সোমবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অবৈধ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি- তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে, গণতন্ত্রকামী মানুষকে হত্যা করে, গুম-খুন করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের পরাজিত করতে হবে। আমরা জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে- ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার, শ্রমিকদের সরকার, কৃষকদের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আজকে গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতার সমস্ত স্বপ্নগুলো ভেঙেচুরে তছনছ করে এই আওয়ামী লীগ সরকার।
ফখরুল বলেন, তারা ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল, তারই পুনরাবৃত্তিতে আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়, এই সরকার কৃষক-শ্রমিক বিরোধী সরকার, এই সরকার গণবিরোধী সরকার। জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই আজকে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে।
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের পরাজিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হুমকি দেন- অগ্নিসন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না; অথচ অগ্নিসন্ত্রাস করেন আপনারা। নিজেরা অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপির ওপর দোষ চাপান। বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে বিএনপির ঘাড়ে দায় চাপান। আপনারা রাজধানীর গুলিস্তানে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষকে হত্যা করেছেন।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।