বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোর্শেদ চৌধুরীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা ঘটনার নয় দিন পরও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি। পরিবারের অভিযোগ, আসামিদের রক্ষা করতে কাজ করছে পুলিশ। অপরদিকে অভিযুক্তরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। গত ৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুুলিশ।
মামলার বাদী নিহত মোর্শেদের স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরীর অভিযোগ, বার বার মানসিক নির্যাতন ছাড়াও তাঁকে ও তার স্বামী মোর্শেদকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করেছে আসামিরা। এ ছাড়া নিহত মোরশেদ চৌধুরী, স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরী এবং তাদের মেয়ে মোবাশ্বেরা জাহান চৌধুরীর পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয় তিন বছর আগে। এ সব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তাঁরা কোনো সহায়তা পাননি। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। আসামি গ্রেফতার কিংবা মামলার তদন্তে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।’ মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, ‘এ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না পুলিশ। উল্টো আসামি পক্ষ মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে।
এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’ বাদী ইশরাত জাহানের দাবি- ‘এ খুনের সঙ্গে রাজনৈতিক রাঘববোয়ালরা জড়িত। তারা আসামি গ্রেফতার ও মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা চাই এ খুনের সঙ্গে জড়িত ও নেপথ্য হোতাদের গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।’ নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর থেকে হুইপপুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুন ও তার রাজনৈতিক অনুসারীরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মীয়স্বজনদের ফোন করে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য। নিহত মোরশেদের বাসার আশপাশেও অপরিচিত লোকজন ঘোরাঘুরি করছে। এতে করে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে পরিবার। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৯ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।