রাজধানীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী জুড়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তৎপর থাকতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। যে কেউ ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে নামলেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের।
তবে আগের দিনের তুলনায় গতকাল সকাল থেকে সড়কে যানবাহন বেশি দেখা গেছে। তবে চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ফলে কিছু কিছু চেকপোস্টের পেছনে ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ জটলাও দেখা গেছে।
গাবতলী চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য বলেন, ঢাকায় প্রবেশ করতে চাওয়া লোকজনের অনেক অজুহাত রয়েছে। তবে কেউ যথাযথ কারণ দেখালে আমরা যেতে দিচ্ছি। যেমন কেউ হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন, আবার কেউ কর্মস্থলে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে যাচাই করে প্রয়োজন বুঝে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
আবার এমনো কেউ আছেন মুভমেন্ট পাশ নিয়ে সাভার থেকে পুরান ঢাকায় যাচ্ছেন। পাশে জরুরি প্রয়োজনের কথা উল্লেখ থাকলেও আসলে যাচ্ছিলেন আত্মীয়ের বাসায়। বিনা প্রয়োজনে ঢাকায় প্রবেশ করতে চাওয়া লোকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আবার কাউকে জরিমানাও করা হচ্ছে।
জানা গেছে, যারা আইন অমান্য করে বাইরে বেরিয়েছেন, তাদের অপরাধ বিবেচনায় ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জরিমানা করাই মূল উদ্দেশ্য নয়, তারা আইন মানতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চান। করোনা মোকাবিলায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন সবাই সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকেন।
রাজধানীর আগারগাঁও-তেজগাঁও এলাকায় কয়েকটি সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিতে দেখা গেছে। আর বিকল্প সড়কগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। যেসব চেকপোস্টে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাইরে বের হওয়া জনসাধারণের।
এদিকে লকডাউনে সাধারণ মানুষের বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা আদেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাশ না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের জরিমানা করা হবে। জরিমানার পাশাপাশি জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না আসার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলেও জানান পলাশ কুমার বসু।