পয়লা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।
গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড তাপদাহেও পয়লা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে উঁকি দিয়েছে নতুন সূর্য। স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে উৎসবে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও। সেই দলের একজন হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে জানিয়েছেন শুভকামনা।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনেতা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ। নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সবাই বাঙালি। এই বন্ধন চির অটুট থাকুক। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশের বিরুদ্ধে সরব হন চঞ্চল। সামাজিকমাধ্যমে প্রতিবাদী প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি লেখেন, ‘পয়লা বৈশাখ কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। বাঙালির প্রাণের উৎসব। সকল ধর্মের, সকল মানুষের উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম দিনে সবাই একত্রিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে। এখানে অংশগ্রহণ যার যার নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিরোধিতা কাম্য নয়।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে এটি শেষ হয়। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’।