মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে ইলিয়াছ ঢালী (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। বুধবার রাতে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ইলিয়াস ঢালী ঢাকায় ফল বিক্রি করতেন। তিনি কাদিরপুর ইউনিয়নের ডিগ্রির চর গ্রামের ইউনুস ঢালীর ছেলে।
এর আগে বুধবার উপজেলার হাসপাতাল এলাকায় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শিবচর থানা পুলিশ জানায়, কাদিরপুর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হন এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, কাদিরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান মোল্লার প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী আব্বাস মুন্সির নির্বাচনের বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল।
মজিবুর রহমান খলিল মোল্লা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম তালুকদারের ও আব্বাস মুন্সি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্বাচন করেন। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার পথে মো. মজিবুর রহমান খলিল মোল্লা ও তার ভাতিজা মো. রুবেল মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরিবারের সদস্যরা তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন।
মো. রুবেল মোল্লার মাথার আঘাত গুরুতর হওয়াতে চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। এদিকে ওই ঘটনায় মো. আব্বাস মুন্সীর সমর্থক তিনজন আহত হয়। তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন- মো. ইলিয়াস ঢালী (৩০) মজিবুর ভারী(২৭), মজিনা বেগম (২২) আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রাতে ইলিয়াস ঢালীর অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে মাদারীপুর নেয়ার সময় তিনি মারা যায় বলে পারিবারিক সূত্র জানান। বুধবার এ নিয়ে হাসপাতাল এলাকায় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে শিবচর উপজেলা হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ মামলা করলে মামলা নেয়া হবে।