গত কয়েক বছর ধরে আলোচনার তুঙ্গে হেফাজতে ইসলাম। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে মাঠে টিকতে পারছে না সেখানে অনেকটাই সফল এই ধর্মভিত্তিক সংগঠনটি। হেফাজতের একের পর এক কর্মসূচী সরকারকেও ফেলেছে বেকায়দায়। ধরপাকড়, মামলা, গ্রেফতার ও সরকারের চাপ মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন, জেলায় জেলায় আইনি সহায়তা সেল গঠন এবং বিভিন্ন দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হেফাজত। এছাড়া সমমনা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোড়ালো করবে হেফাজত। রবিবার (১১ এপ্রিল) হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে হেফাজতের কমিটি রয়েছে। এর বাইরে সারাদেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করাসহ সংগঠনকে এগিয়ে নিতে ‘সাংগঠনিক সেল’ গঠিত হয়। এবং প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দুই থেকে তিন সদস্যের আইনি সহায়তা সেল গঠন করা হবে আইনজীবীদের নিয়ে। হেফাজতের কার্যক্রম, মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
তবে বিতর্ক আর সমালোচনা যেনো হেফাজতে ইসলামকে ছাড়ছে না। ইতিমধ্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মকাণ্ড দেশব্যাপী সমালোচনায় মুখর। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর তোপের মুখে পড়েছে হেফাজতে ইসলাম। এরমধ্যে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা আটক হয়েছেন। অনেকে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন।