প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষার ফল তৈরিতে গাফিলতির দায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, পরিচালক প্রশাসন এস. এম. আনছারুজ্জামান,
পরিচালক প্রশিক্ষণ ড. উত্তম কুমার দাশ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) পরিচালক শাহীনুর শাহীন খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর আইএমডি বিভাগের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট অনুজ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৫ মার্চ) এ সংক্রান্ত নথিতে সই করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ফল তৈরিতে যাদের গাফিলতি ছিল, তাদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চারজনকে শোকজ ও একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৃত্তির ফল তৈরির সঙ্গে জড়িত পাঁচজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রমাণ পেয়েছে দুই তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন ও ফল তৈরি কার্যক্রমের প্রধান ডিপিই পরিচালক (প্রশাসন) এস এম আনছারুজ্জামানসহ আইএমডি বিভাগের দুইজন আর প্রশিক্ষণ বিভাগের একজন আছেন। মহাপরিচালক নিজেও দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে সেজন্য কয়েকটি সর্তকতামূলক সুপারিশও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়। সফটওয়্যারের টেকনিক্যাল কোডিংয়ে ভুল হওয়ায় সার্বিক ফলে সমস্যা তৈরি হয়। এতে করে সেবার ফল স্থগিত করা হয়। পরে ১ মার্চ সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে আগের তালিকায় নাম থাকা পরীক্ষার্থীর অনেকেই বাদ পড়ে।