ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৫ মার্চ) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এক লাখ দশ হাজার ইভিএম আছে। সেগুলো মেরামত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সংখ্যাটা চূড়ান্ত করতে পারব যে মোট কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রদানের জন্য চিঠি প্রেরণ করব। অর্থ মন্ত্রণালয় যদি অর্থ প্রদানের জন্য সম্মতি জানায়, তখন আমরা পরবর্তী ধাপে আপনাদের জানাতে পারব যে আসলে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে পারব।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি যতটুকু সম্ভব বেশি ব্যবহার (ইভিএম) করার জন্য। কারণ আপনারা জানেন ভোটার সংখ্যা একেক জায়গায় একেক রকম। সুতরাং যদি ছোট আসনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা যায় তাহলে তুলনামূলক বেশি আসনে এর (ইভিএর) ব্যবহার সম্ভব হবে। আর যদি বড় আসনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে খুব বেশি আসনে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না। সুতরাং সব চূড়ান্ত করে হাতে রিপোর্ট পাওয়ার পর সু-স্পষ্টভাবে বলতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘কমিশন সবসময় বলে আসছে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের আপ্রাণ চেষ্টা করবে। আমরা সে জায়গা থেকে সরে আসিনি। সংখ্যা নির্ভর করবে ইভিএম মেশিনের ওপর। মেশিন যতগুলো আছে, সেগুলোকে সক্ষম করা ও কতগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করতে পারব তার ওপর নির্ভর করবে।’
জাহাংগীর আলম বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়েছে- ঈদুল ফিতরের পরে আবুধাবিতে টিম পাঠিয়ে কার্যক্রম শুরু করব। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি দূতাবাসে আউটসোর্সিংয়ে লোকদের কাছে এসে তথ্য দেবেন। সেই তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে দেশের সংশ্লিষ্ট এলাকায় উপজেলা বা থানা অফিসারের কাছে চলে যাবে। সেখানে তারা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে তখন তারা কনফার্ম করবে।’
‘এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ও অন্যান্য জিনিস নেওয়া হবে। এরপরে এখান থেকে স্মার্টকার্ড তৈরি করে সেটা আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠাব। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেটা গ্রহণ করবেন। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ওই ব্যক্তি মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তখন তিনি ওখানে থেকে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।’