আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান এই তথ্য।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মুখ্যসচিব বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ যাচাই করে দেখছে সরকার। কোনো অসাধু চক্র যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে জেলা উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও টিসিবির নানা কার্যক্রম এবং সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আরও জোরদার করা হবে বলেও জানান মুখ্যসচিব।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব জানান, রমজানে বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্যান্য সেবা স্বাভাবিক রাখার তাগিদও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। স্বল্প আয়ের মানুষেরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। আসন্ন রমজানে সেই সক্রিয়তা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে গেল ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারিতে যা ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
রোববার (১২ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকপরবর্তী ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
মূল্যস্ফীতি বাড়লেও অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, বর্তমানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, কমেছে আমদানি ব্যয়। রফতানি আয়ও বেড়েছে। বাজেট ঘাটতিও কমেছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত সাত মাস যাবত দেশে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশের ওপরে রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের ৮.৭১ শতাংশের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮.৫৭ শতাংশে দাঁড়ালেও ফেব্রুয়ারিতে তা আবারও বেড়েছে। তবে গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছেছিল, যা ছিল গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।