পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘বর্তমানে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বাড়ছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তথ্য অপরিহার্য। বর্তমান সরকার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়োপযোগী তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতিতে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন ছাড়াও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক নীতিনির্ধারণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। দ্রুততম সময়ে সবতথ্য-উপাত্ত প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে বিবিএসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. মসিউর রহমান বলেন, পরিসংখ্যান তৈরি একটি টেকনিক্যাল বিষয়। দক্ষ জনবল ছাড়া মানসম্মত তথ্য তৈরি এবং সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এ জন্য বিবিএসের জনবলের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রেও যোগ্যদের প্রাধন্য দিতে হবে। এছাড়া সব মন্ত্রণালয়ে পরিসংখ্যানের ব্যবহার এবং অথনৈতিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এজন্য সব বিভাগে যোগ্য টেকনিশিয়ান থাকা উচিত। জরিপ কাজে নগরায়ণের তথ্য থাকা উচিত। নগরায়ণের গ্রোথ রেটটা দেখা দরকার। সেকারণে নগরায়ণকে জরিপে গুরুত্ব দিতে হবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত অনেক বড় এবং এটা প্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বিচ্যুত। তবে, প্রাতিষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে একটা সম্পর্ক রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতকে কাজ করাতে হলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকেও কাজ করাতে হবে। আবার অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের চাহিদা, সরবরাহ প্রাতিষ্ঠানিক খাতকে সহায়তা করে।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের গুরুত্ব বুঝাতে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একজন গার্মেন্টসকর্মী তার কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন বাহন ব্যবহার করে থাকে। এ বাহনগুলো গার্মেন্টস খোলা এবং উৎপাদনে সহায়তা করে। সুতরাং জাতীয় অর্থনীতিতেও তারা অবদান রাখে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি অর্থনীতিতে তাদের অবদান জানতে পরিসংখ্যানের আওতায় আনা উচিত এবং তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
বিবিএসের সচিব বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজন সঠিক তথ্য। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে করে থাকে বিবিএস। মাঠপর্যায় থেকে সঠিক তথ্য তুলে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বিবিএস। সব তথ্যই সঠিক সময়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।