ক্রীড়াঙ্গনের বড় তারকারা দলের সঙ্গে চুক্তি থেকে আয় ছাড়াও আরও অনেক খাত থেকে অর্থ উপার্জন করেন। স্পন্সর, ক্রীড়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি, বিজ্ঞাপন কিংবা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার দূত হয়েও তারা মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকেন। স্বভাবতই মনে করা হয় যে, কেবল পুরুষ ক্রিকেটাররাই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। ফলে নারী ক্রিকেটারদের অর্থনৈতিক সম্পদ নিয়ে তেমন আলোচনা দেখা যায় না।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে’র নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ দামে ভারতীয় ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধানাকে কিনে নেয় রয়েল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু। তবে সবমিলিয়ে তার চেয়েও বেশি সম্পদশালী ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বে রয়েছে।
নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় মুখ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এলিস পেরি। বর্তমানে চলমান নারী টি-২০ বিশ্বকাপের খেলায় ব্যস্ত আছেন তিনি। ক্রিকেটের এ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে পেরি সম্প্রতি দেড় হাজার রান এবং একশ উইকেট শিকারের ইতিহাস গড়েছেন। সর্বোচ্চ ৮টি টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা পেরির মোট আয়ের পরিমাণ প্রায় ১৪৯ কোটি টাকা (১৪ মিলিয়ন ডলার)।
অজিদের তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেগ ল্যানিং। তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া একাধিক বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রায় ৮ হাজার রান করা ল্যানিং নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় ধনী। তার মোট আয়ের পরিমাণ প্রায় ৯৬ কোটি টাকা (৯ মিলিয়ন ডলার)।
আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মিতালি রাজ। ১০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান করা মিতালি গত বছর ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছোট পর্দায় দেখা মেলে মিতালির। তার আয়ের পরিমাণ ৫৩ কোটি টাকারও বেশি (৫ মিলিয়ন ডলার)।
নারীদের আইপিএলে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া স্মৃতি মান্দানার অবস্থান চতুর্থ। ক্যারিয়ারের মাঝপথে থাকা মান্ধানা এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান করেছেন। তার আয়ের পরিমাণ সাড়ে ৪২ কোটি টাকা (৪ মিলিয়ন ডলার)।
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট দল হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে। মুম্বাইয়ের হয়ে তাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মাঠে নামবেন। তার আয়ের পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা (৩ মিলিয়ন ডলার)। বর্তমানে দলকে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের মিশনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
আয়ের দিক থেকে এরপরই ক্রমান্বয়ে অবস্থান করছেন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার সারা টেইলর, অজি অলরাউন্ডার হলি ফার্লিং ও সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ঈশা গুহ। সারার আয় ২ মিলিয়ন ডলার, ফার্লিংয়ের ১.৫ মিলিয়ন ডলার এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যে জনপ্রিয় ঈশার আয়ের পরিমাণ ১.৫ মিলিয়ন ডলার।