খেলা শুরু ১২ পয়েন্ট দিয়ে। ১২ পয়েন্ট ব্যয় করতে হবে বাড়ি ভাড়া, খাবার, পড়ালেখা, পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল, চিকিৎসা ও যাতায়াতে। তবে ১২ পয়েন্ট দিয়ে সবগুলো পূর্ণ করা সম্ভব নয়। বাকি পয়েন্টগুলো পূর্ণ করতে দেওয়া হবে কয়েকটি সুযোগ। যেখানে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং, একটু হলেও সঞ্চয় ও উদ্যোক্তা। আবার রয়েছে বেশ কিছু মন্দ সুযোগও। যেমন দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া, বেশি সুদে দ্রুত ঋণ নেওয়া, রেজিস্ট্রেশনবিহীন বেশি লাভের কোম্পানিতে বিনিয়োগ ইত্যাদি।
সবচেয়ে ভালো সুযোগগুলো বেছে নিলে পাবেন ১৬ পয়েন্ট। সে পয়েন্টগুলো দিয়ে বেছে নেবেন আপনার একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো। যেটা হতে পারে নিয়মিত চিকিৎসা, পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ শিক্ষা বা নিজের জমি ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বেছে নেওয়ার পর যদি আপনার হাতে ১৬ পয়েন্টের কিছু অবশিষ্ট থাকে, তাহলেই আপনি বিজয়ী। খেলা শেষে পাবেন একটি ছোট্ট উপহার।
আলট্রাপুওর গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের আওতায় ব্যতিক্রমধর্মী এ খেলাটি নিয়ে এসেছে ব্র্যাক। সংস্থাটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ‘হোপ ফেস্টিভ্যালে’ আসলে দেখা মিলবে এ স্টলের।
শূন্য থেকে পূর্ণ ও আলট্রাপুওর গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্যর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রোগ্রাম ম্যানেজার উপমা মাহবুব ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেবল টাকা পয়সা ও গরু-ছাগল পালনের মাধ্যমে অতি দরিদ্রদের অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন ঘটবে না। তাদের আরো অনেক সাপোর্ট প্রয়োজন। সে ধারণা থেকে ব্র্যাক একটি মডেল তৈরি করেছে, যেটা হচ্ছে গ্র্যাজুয়েশন এপ্রোচ। এটা মূলত দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল। যেটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ব্র্যাকও এই মডেল কার্যকর করেছে।
তিনি আরও বলেন, আলট্রাপুওর গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের সুফল ভোগ করছে ২১ লাখ পরিবার। তারা ধীরে ধীরে দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসছে। আমরা তাদের তিনটি জিনিস দেই। এগুলো হলো- এসেট, স্কিল আর হোপ। বিশেষত হোপ, যেটা আজকের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য। আপনি যদি কারোর ভেতর আত্মবিশ্বাস দিয়ে দিতে পারেন এবং তাকে যদি পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, যেটা আমরা এই শূন্য থেকে পূর্ণ খেলার মাধ্যমে দেখিয়েছি, তাহলে সে যে কোনো অসাধ্য সাধন করতে পারবে।
‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘সম্ভাবনার শক্তি’ এবং ‘যে পৃথিবী আমরা গড়তে চাই’ এই তিনটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে ব্র্যাকের হোপ ফেস্টিভ্যাল।
উৎসবে দর্শকদের জন্য থাকবে আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতির সম্মিলন – পুঁথিপাঠ, গল্পপাঠের আসর, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, শিশুদের খেলার জগৎসহ দিনব্যাপী নানা প্রদর্শনী।
প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে ফেস্টিভালটি।