দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
তিনি বলেছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না দুর্নীতি দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই আজ জরুরি। সন্ত্রাস ও সহিংসতা দেশে একটা বড় ব্যাধি। সংগ্রামে শামিল হতে হবে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে, না হলে এগুলো দূর করা যাবে না।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
রওশন এরশাদ বলেন, প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক ৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিবেচনায় ইতিবাচক। মাথাপিছু জাতীয় আয় আগের অর্থবছর থেকে ২৩৩ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ২ দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নে জিডিপি কতটা কার্যকর তা নিয়ে ইদানীং প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লেই দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইবে, তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষের জীবন মানে কতটুকু উন্নতি হয়েছে তা দেখতে হবে। প্রবৃদ্ধি বিতর্কে না গিয়ে সরকারের উচিত হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। তাহলে বৈষম্য কমবে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষকে রক্ষা করতে হলে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন কৃষক ন্যায্য মূল্য পায়, ভোক্তারাও সহনীয় দামে খাদ্য শস্য কিনতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে খাদ্য শস্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে সরকারকে।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে যেসব কথা বলেছেন তা আমাদের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। এগুলো আমাদের জন্যই নয় সারাবিশ্বের জন্যও প্রাসঙ্গিক। এগুলোকে মোকাবিলা করতে আমাদের সতর্কভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সব মহলের আপত্তির পরও সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সবকিছুর খরচ বাড়বে। ফলে আরেক দফা বাড়বে দ্রব্যমূল্য। ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানি খাত। এসময় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম অপরিবর্তিত রাখা উচিত ছিল। আমরা আশা করবো, বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দাম সমন্বয় করবে সরকার।