আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। তারপর ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চালাচ্ছে। তার ওপরে আবার ৫০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়েছে এরই মধ্যে। তারা দেশ কীভাবে চালাচ্ছে এটা মানুষের জানা দরকার। তারা মেঘা প্রজেক্টের মাধ্যমে ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা শুধু লুটপাট করে দেশের তহবিল খালি করেনি, এ টাকা বিদেশেও পাচার করেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘একদিকে মেঘা প্রজেক্টের নামে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে তারা, অন্যদিকে লুটপাট করে ব্যাংকগুলোও খালি করে দিচ্ছে। টাকার অভাবে এলসি খুলতে পারছে না, ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছে না অনেকে।’
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, জনশক্তির ওপর কোনো শক্তি থাকতে পারে না। জনশক্তির বিরুদ্ধে কোনো অপশক্তি থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশের মানুষ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রমাণ করেছে এবং এবারও প্রমাণ করছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থান সেটা তারা জানিয়ে দিয়েছে। কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে এবং বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তারা এ কাজ করছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রথম ধাপের আন্দোলনের সব বাধা, বিপত্তি, মামলা, হামলা, সরকারের গণপরিবহন বন্ধের পরও সফল হয়েছি। সরকার রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। যত বেশি রাজনৈতিকভাবে তারা পরাজিত হচ্ছে তত বেশি তারা শক্তির কথা বলছে, তত বেশি তারা সহিংসতার কথা বলছে। তারা আন্দোলন সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এতেই প্রমাণ করে জনগণের সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কাছে কোনো কিছুই দাঁড়াতে পারে না।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিশ্বাস করছে না, তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের বিদায় দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ অবৈধ দখলদার সরকার বিদায় করবে। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, তারা একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চায়। এ মডেলের বিপরীতে অন্য কোনো মডেলের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং বিদেশি গণতান্ত্রিক দেশের কাছে একটি মাত্র মডেল, সেটি হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার গঠন হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এর বিপরীতে অন্য কোনো সুযোগ নেই।
খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি কে হলেন এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তার নিজের ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে। এর বাইরে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।