সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বা খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে নাম এসেছে রাজধানী ঢাকার। এমন পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণ রোধে বিশেষ অভিযানে নেমেছে সরকার। এরই ধারাবাহিতায় অভিযানের প্রথম দিনে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দূষণের দায়ে মোট ২৬টি যানবাহন ছাড়াও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে ভয়াবহ দূষণ রোধে এই অ্যাকশন আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২’ অনুসারে গঠিত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের সচিব ও দফতর প্রধানসহ কমিটির ৭০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নির্মাণ কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ ছাড়াও অবৈধ ইটভাটা, গাড়ির কালো ধোঁয়া; বিশেষ করে বড় বড় নির্মাণ কার্যক্রমের দূষণের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি রাস্তায় পানি ছিটানোসহ সড়কের ধুলাবালি পরিষ্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও পৌরবর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন নিয়মিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বলা হয়, বায়ু দূষণকারী পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্লক ইটকে সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে একটি সুপারিশমালা প্রণয়ন ও দাখিল করতে হবে। সেই সঙ্গে সকল মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকালে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সব সচিবকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।