বেগম খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের খবরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও কোনো ভিড় নেই তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা এবং রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে।
রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের বাড়ি ফিরোজার সামনে গিয়ে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুজন এএসএফ সদস্য বসে আছেন। এর বাইরে কয়েকজন সংবাদকর্মী এবং সাদা পোশাকের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন রয়েছেন। দলের কোনো নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। একই অবস্থা গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেও।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ভাগ্নে ডা. মামুন তাকে দেখতে আসার কথা রয়েছে। এরপরই তার করোনা আক্রান্তের বিষয়ে দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেওয়া হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন এএসএফ সদস্য বলেন, ম্যাডাম ভালো আছেন। বাসায় আছেন। বিকেলের মধ্যে আপনারা ম্যাডামের করোনা আক্রান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারবেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কিছুক্ষণ পরে তাকে দেখতে যাব। তারপর বলতে পারব তার শারীরিক অবস্থা কেমন।
এদিকে সকালে খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম ও তার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। তাদের কাছে খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। কিন্তু তার কাছে এই বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ বিএনপির এক নেতা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই ম্যাডামের করোনা আক্রান্তের খবরে নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন। কারণ তার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় করোনা আক্রান্ত হওয়া ভালো লক্ষণ নয়।