রবিবার (১১ এপ্রিল) একদিনে নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ থেকে হেফাজতের ৪ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও থেকে ২ জন, রূপগঞ্জ থেকে ১ জন এবং কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থেকে ১ জনকে আটকের খবর জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ অবরুদ্ধ থাকার পর সহিংসতায় জড়িতের অভিযোগে হেফাজতকর্মী হাসান মিয়া ও শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোনারগাঁও থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই জেলার রুপগঞ্জ থেকে হেফাজত ইসলামের অন্যতম নেতা এবং স্থানীয় মর্তুজাবাদ জামে মসজিদের খতিব মুফতি লোকমান হোসেন আমিনীকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। ফেসবুকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস প্রদান এবং হেফাজতের ডাকা হরতালে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় দাঙ্গা- হাঙ্গামার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে মর্তুজাবাদ এলাকা থেকে আটক করা হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি এইচ এম জসীম উদ্দিন জানান, লোকমানকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ১১ বছর বয়সী মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে বড়খাঁরচর আদর্শ নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও স্থানীয় হেফাজত নেতা মুফতি ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবুল কালাম জানান, গত ৩০ ও ৩১ মার্চ পর পর দুই রাত বড়খাঁরচর আদর্শ নূরানি মাদরাসার নূরানি তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন ইয়াকুব। বলাৎকারের ঘটনা কাউকে না বলতে শিশুটিকে কোরআন শরিফ ছুঁইয়ে শপথ করান তিনি। ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তাকে তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।