আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন ও অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। তবে তৈরি পোশাকসহ সব শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা প্রজ্ঞাপন আকারে সোমবার (১২ এপ্রিল) ঘোষণা করা হতে পারে।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি তুলে ধরে লকডাউনে কারখানা খোলা রাখার দাবি জানান। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে কারখানা খোলা রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা বলেছি, কারখানা খোলা থাকলে শ্রমিকরা করোনায় কম আক্রান্ত হবেন। বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমাদের বলা হয়েছে, আগামীকাল কারখানা খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বৈঠকে অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখলেই শ্রমিকরা গ্রামগঞ্জে চলে যাবেন। গণপরিবহনে আসা যাওয়া এবং অবাধে চলাফেরার ফলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বেড়ে যাবে। ফলে শ্রমিকদের দায়িত্বও মালিকরা নেবে না।
ফারুক বলেন, আমরা বলেছি শ্রমিকদের ৯০ শতাংশ কারখানার আশপাশ এলাকায় থাকেন। তারা পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেলে করে অফিস করেন। কারখানা বন্ধ না করা হলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করব আমরা। তাতে শ্রমিকরা ভালো থাকবেন।
তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ থাকলে একদিকে রফতানি বাজার হারাবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে পোশাক শ্রমিকরা আরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হবে। পাশাপাশি আসছে ঈদে বেতন-বোনাস নিয়ে সংকটের মুখে পড়বেন তারা। এ বিষয়টি বোঝানোর পর আমাদেরকে সব শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।