সারাদেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত চলতি বছরের মার্চ মাসে দুই হাজার ৪৩৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৮৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজার ৪৩৯ জন মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৮ জন। আর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক চিত্র। তাই সবাইকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং। আর প্রাথমিক স্তরেরটি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সেখান থেকেই এসব আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ৯টি আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা বিভাগে, ৪৯৭জন। মারা গেছেন ১৭ জন। কুমিল্লায় আক্রান্ত ১০৯ জন, মৃত্যু ৫ জনের; বরিশালে আক্রান্ত ২০১, মৃত্যু ৩; ময়মনসিংহে আক্রান্ত ৭৪, মৃত্যু ৩; চট্টগ্রামে আক্রান্ত ৮৫, মৃত্যু ৫; রাজশাহীতে আক্রান্ত ৬৪, মৃত্যু ৫; সিলেটে আক্রান্ত ১০৪, মৃত্যু ১, রংপুরে আক্রান্ত ১৩৭, মৃত্যু ৭ এবং খুলনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন।
এর মধ্যে একজন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাও রয়েছেন। মারা যাওয়া ওই কর্মকর্তার নাম ছগীর হোসেন হাওলাদার। তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি সফর আলী কলেজে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে মোট এক হাজার ৫৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ৫৭ জনের। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চে প্রায় এক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রাথমিকে আক্রান্ত ১০৪৪
মার্চে সারাদেশের প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত মোট এক হাজার ৪৪ শিক্ষক-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৭৬ জন সুস্থ হলেও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষক ২১, কর্মকর্তা ৩, কর্মচারী একজন রয়েছেন। আর আক্রান্তের মধ্যে শিক্ষক ৮২৮, কর্মকর্তা ১২৯, কর্মচারী ৬২ ও ২৬ জন শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭, খুলনায় ৮, চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ১, বরিশালে ১, সিলেটে ১ ও রংপুরে একজন রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগে প্রাথমিকের কোনো শিক্ষক-কর্মচারী করোনায় মারা যাননি।