হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম নেতারা। রবিবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে মামুনুল হকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এ জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেছেন, কথিত দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করে মামুনুল হক ব্যাভিচার করেছেন, এজন্য তার বিচার হওয়া উচিৎ। সেই সাথে তিনি হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফত মজলিশে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তার নিজেরই উচিৎ সংগঠন থেকে পদত্যাগ করা। হেফাজত ইসলামের স্বার্থেই সংগঠনকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) প্রায় ৩০ মিনিটের লাইভে মামুনুল হকের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেছেন হেফাজতের সাবেক নেতারা তারা বলেছেন, ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। সামাজিক বৈধতা পেতে বিয়ের তথ্য গোপন নয় বরং প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। কোনো বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া শরিয়ত সম্মত নয়।
এদিকে বাংলাদেশি ইসলামি ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মেজবাউর রহমান চৌধুরী বলেন, মামুনুল হক ঐ মহিলাকে বিয়ে করেছেন কিনা এ বিষয়টি সন্দেহজনক। আর যদি বিয়ে করেও থাকেন কাউকে না জানিয়ে গোপনে। তাহলে এটি আমাদের ইসলাম ধর্মের মতে ব্যাভিচারের সামিল। হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তোমরা যখন বিয়ে করো, তখন তোমরা প্রচার করো। তাই ইসলাম অনৈতিক সম্পর্ককে ব্যাভিচারের মধ্যেই সামিল করে।
এর আগে, সোনারগাঁয়ে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর হেফাজত কর্মীদের ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুটি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে ও অপর মামলাটি আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে করেছেন। এই তিন মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে