আজ (২৪ ডিসেম্বর) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এদিন ঢাকা বাদে সারাদেশে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি রয়েছে। এজন্য সারাদেশের নেতাকর্মীদের এদিন ১০ ডিসেম্বরের মতো সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই নির্দেশনার কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বাইরে যে তাণ্ডব চলছে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে আজকে বিএনপি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, ১০ তারিখে তারা ফেল করেছে। তারা মাথা নত করবে না। তারা মরিয়া হয়ে নেমেছে। কারণ তারা জানে নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হারানো সহজ নয়। কাজেই তারা এখন আন্দোলন, জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাস এসব অপকর্ম করে সরকার হটানোর পাঁয়তারা করছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, আগামীকাল ঢাকায় আমাদের সম্মেলন, তারা তাদের কর্মসূচি পিছিয়েছে, কিন্তু আগামীকাল সারা বাংলাদেশে তাদের কিন্তু প্রোগ্রাম আছে। এই প্রোগ্রাম উপলক্ষে অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক পথে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে চায়। গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়াতে চায়। মফস্বলে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ তাদের এ ধরনের প্রোগ্রাম রয়েছে।’
মফস্বল খালি করে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে ঢাকায় আসতে নিষেধ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের জাতীয় সম্মেলন হবে। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এখানে আসবেন। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ তার এলাকা খালি করে আসবে না। আমাদের লোকজন প্রস্তুত থাকবে। আমি আবারও বলছি, ঢাকার বাইরে যারা থাকবেন সম্মেলনে তো সবাই আসবেন না। যারা থাকবে ১০ ডিসেম্বরের মতো সতর্ক পাহারায় থাকবে। সারা বাংলাদেশের সকল জেলার, সকল উপজেলায়, ইউনিয়নে সর্বত্র সতর্ক পাহারা রাখতে হবে।’
কাদের বলেন, ‘এরা এই যে শূন্যতা মনে করে আঘাত হানতে পারে। কাজেই কোথাও শূন্যতা থাকবে না। আমাদের যারা থাকবে, তারা প্রস্তুত হয়ে থাকবে। সতর্ক পাহারায় থাকবে। এটা আমি আজকে এই শৃঙ্খলা সমাবেশ থেকে এই বার্তাটা আমি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মিডিয়াকে অনুরোধ করছি।’
আগামীকালের সম্মেলন নির্বাচনের দায়িত্ববোধের প্রতিফলন ঘটবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
