ফুটবল বিশ্বের সকল ট্রফিতে নিজের নাম লিখিয়েছেন রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। শুধু অধরা ছিল সোনালি সেই বিশ্বকাপ ট্রফিটা। রোববার বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে সেই স্বপ্নকে সত্যি করে লিওনেল মেসির দল। তার হাত ধরেই রোমাঞ্চকর এক লড়াই শেষে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর নিজেদের ঘরে বিশ্বকাপের শিরোপা তুলে নেয় আলবিসেলেস্তারা। রোজারিওর সেই ক্ষুদে জাদুকর এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
স্বপ্নযাত্রা শেষে মঙ্গলবার ভোরে দেশে পৌঁছায় লিওনেল স্ক্যালোনি বাহিনী। দেশে পৌঁছানোর পর দুপুরে আর্জেন্টিনার ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওবেলিস্কে ছাদখোলা বাসে ভক্তদের সঙ্গে বিজয় উদযাপনের কথা ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে সমর্থকদের চাপে তা আর হয়ে উঠে নি আর্জেন্টাইন শিবিরের ফুটবলারদের। আর এতেই ছাদখোলা বাসে বিজয় প্যারেডের পরিকল্পনা থেকে সিদ্ধান্ত বদলায় কর্তৃপক্ষ। সবশেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা হেলিকপ্টারে করে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। এরপরই নিজেদের জন্ম শহরে ফিরতে শুরু করে ফুটবলাররা।
গতকাল (মঙ্গলবার) নিজ শহরে মেসিকে বরণ করা হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। সেই সময় ক্ষুদে জাদুকরের সঙ্গী ছিল দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অ্যানহেল ডি মারিয়া। বিশ্বকাপজয়ী এই দুই তারকার সঙ্গে সেখানে দেখা হয় রোজারিও থেকে উঠে আসা সাবেক ফুটবলার ও কোচ কিলি গনসালেসকর। তাদেরকে একসঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা যায়।
মেসিকে বরণ করতে আসা মানুষজনের মুখ থেকে তখন শোনা যায় ‘ওলে, ওলে, লিও লিও’ স্লোগান। তাছাড়াও নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে মেসিকে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। ঘরে পৌঁছানো পর্যন্ত রোজারিওর উন্মাতাল জনতা সঙ্গ দিয়ে যায় এই মহাতারকাকে।
রোজারিওতে পৌঁছানোর পর নিরাপত্তারক্ষীরা পুরো সময় মেসি-ডি মারিয়াকে ঘিরে রাখলেও উৎসুক মানুষদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি তারা। সেই সময় ‘এগিয়ে যাও চ্যাম্পিয়ন’ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখর করে তুলেন তারা।