হোটেল-রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতই বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ চান মালিকরা। পাশাপাশি আসন্ন রমজানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার ও সেহেরি বিক্রিরও সুযোগ চেয়েছেন তারা। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির সভাপতি মো. ওসমান গনি ও মহাসচিব ইমরান হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও আবারও করোনা থাবা মেরেছে। কঠিন সময় পার করছি। গত লকডাউনে সরকার প্রণোদনামূলক ব্যাংক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও পচনশীল খাবারের দোকান আখ্যা দিয়ে ব্যাংক কোনো ঋণ দেয়নি। ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। অনেক মালিক সর্বস্বান্ত হয়ে প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছেন, মালিকদের গড়ে ৫০ শতাংশ লোকসান হয়েছে।
৮ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে নতুন নির্দেশনা দেয় সরকার। এতে দেশের সব দোকানপাট ও শপিংমল সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ও ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, শুধু পার্সেল বা অনলাইনের বিক্রয়ের পরিবর্তে হোটেল-রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতই বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ চেয়েছেন হোটেল মালিকরা। এছাড়া আসন্ন রমজানে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার ও সেহেরি বিক্রয় করতে চান তারা। এ সময়ে সরকারি এজেন্সিসমূহ থেকে বিমাতাসুলভ আচরণের পরিবর্তে ব্যবসা-বান্ধব আচরণ প্রত্যাশা করেছে সংগঠনটি।
রেস্তোরাঁ মালিকরা বলছেন, এ সেক্টরে ৩০ লাখ কর্মচারী কাজ করে এবং এ সেক্টরের সঙ্গে প্রায় দুই কোটি মানুষ নানাভাবে সম্পৃক্ত। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আগামী শনিবারের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁর বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চাচ্ছি। অন্যথায়, আগামী রোববার ১১ এপ্রিল সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকাসহ ৬৪টি জেলা শহরের সব প্রেসক্লাবে একসঙ্গে আমাদের এই বাঁচার দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করা হবে।