সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরিষাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও প্রায় ৬৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তারের স্বামী মোস্তাক হোসেন ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এসময় একপক্ষের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয়গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার শিকার হন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় উভয়পক্ষের চিহ্নিত ৫২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬০-৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হলে এসআই আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে রফিকুল ইসলামকে ১ নম্বর ও আশরাফুল আলম মানিককে দুই নম্বর আসামি করে উভয়পক্ষের ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে আসার পরই পুনরায় উভয়পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায়।