সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার সন্দেহে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে জার্মানি। দেশটির ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেছেন, প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা তথাকথিত রাইখ নাগরিক আন্দলনের অনুগামীদের বিরুদ্ধে জার্মানির ১৬টি রাজ্যের ১১টিতে ১৩০ স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আন্দোলনের কিছু সদস্য জার্মানির যুদ্ধোত্তর সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সরকারের পতনের আহ্বান জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
জার্মানির সংবাদমাধ্যম আউটলেট ডের স্পিগেল জানিয়েছে, অনুসন্ধানকৃত স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ক্যাল-এ জার্মানির বিশেষ বাহিনী ইউনিট কেএসকে-এর ব্যারাক। ব্যারাকে অনুসন্ধান চালানোর হয়েছিল কি না এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে ফেডারেল প্রসিকিউটররা অস্বীকৃতি জানান।
প্রসিকিউটরদের মতে,দলের কিছু সদস্য জার্মানির ফেডারেল পার্লামেন্টে ছোট একটি সশস্ত্র দল নিয়ে হামলা চালানোর জন্য ‘পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি’ নিয়েছিল।
বিবৃতি অনুসারে, এই গোষ্ঠীটি ‘তথাকথিত রাইখ নাগরিকদের এবং কানন মতাদর্শের বয়ানের সমন্বয়ে গঠিত ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী’।
প্রসিকিউটররা আরও জানিয়েছেন, দলের সদস্যরাও বিশ্বাস করে যে, জার্মানি একটি তথাকথিত ‘ডিপ স্টেট’ দ্বারা শাসিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একই ধরনের ভিত্তিহীন দাবি করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করেছেন যে, উগ্র ডানপন্থী উগ্রবাদীরা জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। ২০১৯ সালে একজন আঞ্চলিক রাজনীতিবিদকে হত্যা এবং একটি সিনাগগে মারাত্মক হামলার ফলে এই হুমকির বিষয়টি সকলের দৃষ্টি কাড়ে।