নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে তিন নতুন নভোচারীকে পাঠিয়েছে চীন। গোবি মরুভূমি থেকে মঙ্গলবার শেনঝো-১৫ নভোযানে করে তারা মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মহাকাশে নিজেদের স্টেশনে থাকার জন্য দেশটির এটাই প্রথম নভোচারী পাঠানোর ঘটনা। সেখানে ছয় মাস থাকবেন এই তিন নভোচারী। পরে তাঁরা ফিরে এলে আবার নতুন নভোচারীদের সেখানে পাঠানো হবে। এর আগে চলতি বছরের জুনে তিয়ানগংয়ে গিয়েছিলেন তিন নভোচারী। এখন তারা ফিরে আসবেন।
কক্ষপথে থাকা দুটি স্টেশনের একটি তিয়ানগং। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ কার্যক্রম থেকে চীনকে বাদ দেওয়া হলে মহাকাশে নিজস্ব স্টেশন তৈরির দিকে নজর দেয় চীন। চীনের মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে ১১টি আলাদা যন্ত্রাংশ দরকার। এ যাত্রায় যন্ত্রাংশের শেষ চালানটি যাচ্ছে। মহাকাশ স্টেশনটিতে প্রায় এক দশক ধরে কাজ করবে চীনের নভোচারীরা। প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পরীক্ষা চালাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে কক্ষপথে নভোচারী পাঠাতে সক্ষম হয়েছে চীন। এর আগে মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদে রোবোটিক রোভার অবতরণ করে দেশটি। শেনঝাউ-১৫ নভোযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী ফেই জানলং। তিনি ২০০৫ সালে শেনঝাউ-৬ মিশনেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনটি চালু হলে প্রতি বছর দুবার করে সেখানে নভোচারী পাঠাতে পারবে চীন। আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ক্রিশ্চিয়ান বলেন, চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সামর্থ এখন পর্যবেক্ষণ করছে পুরো পৃথিবী।