আজ থেকে ৮০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের চায়নাটাউনে জন্মগ্রহণ করেন চীনা মার্শাল আর্ট শিল্পী, শিক্ষক ও অভিনেতা ব্রুস ইয়ুন ফান লি। সুনিপুণ মার্শাল আর্টের কেরামতি আর দক্ষ অভিনয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে অমর হয়ে আছেন তিনি। তাকে সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী এবং বিখ্যাত মার্শাল আর্ট শিল্পীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। ব্রুস লি ‘জিৎ কুন দো’ নামক নতুন ধরনের মার্শাল আর্ট কৌশলেরও প্রতিষ্ঠাতা। খবর ন্যাশনাল টুডের।
১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন ব্রুস লি। যদিও শৈশবে তার বেশিরভাগ সময় কেটেছে হংকংয়ে। শৈশব থেকেই জীবন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বড় হওয়া ব্রুস লির গতিপথ সম্পূর্ণভাবে পাল্টে যায় ১২ বছর বয়সে। বখাটে কিশোরদের হাতে মার খেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। এরপরই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বিশ্ব সেরা মার্শাল আর্ট শিল্পী ও জগৎখ্যাত অভিনেতা।
বিংশ শতাব্দিতে বিখ্যাত টাইমস ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় উঠে আসে ব্রুস লির নাম। ব্রুস লি’র বাবা লি হো-চুং ছিলেন ক্যান্টনিজ অপেরা ও চলচ্চিত্র তারকা। সেই সূত্রে মাত্র তিনমাস বয়সে গোল্ডেন গেইটগার্ল ছবিতে ব্রুস লিকে দেখা যায়। আর তার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ছোট-বড় ২০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন এই কিংবদন্তি।
এতোদিন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও ১৯৭১ সালে তিনি ‘দ্য বিগ বস’ ছবিতে প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ‘দ্য বিগ বস’, ‘ফিস্ট অব ফিউরি’র মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করা লি পেয়ে যান আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা।
তবে ক্যারিয়ারকে বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি এই কিংবদন্তি। ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রুস লি। আজ পর্যন্ত তার মৃত্যু রহস্য অমীমাংসিত থেকে গেছে। অনেকে এখনো মনে করেন, তাকে বিষ প্রয়োগ করে মারা হয়েছে। আবার অনেকের ধারণা, অতিরিক্ত ড্রাগ সেবনের কারণে মৃত্যু হয়েছে ব্রুস লির। তবে তার মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেনো, ব্রুস লির জনপ্রিয়তায় কখনো ভাটা পড়েনি। এখনো হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন এই মার্শাল আর্ট কিং।