ম্যাচের শুরুতেই গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে চমকে দিয়ে কানাডাকে এগিয়ে নেন ডিফেন্ডার আলফানসো ডেভিস। ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডেই গোল করে কাতার বিশ্বকাপের দ্রুততম গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। পিছিয়ে পড়েই মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া, ফলাফল পেতেও দেরি হয়নি ক্রোয়াটদের। ক্রামারিচের জোড়া গোলে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া ও আলফানসো ডেভিসের কানাডা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ক্রোয়েশিয়াকে গুছিয়ে উঠার আগেই কানাডাকে এগিয়ে নেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা ডিফেন্ডার ডেভিস।
গোল খেয়ে আক্রমণ বাড়িয়ে কানাডার উপর চাপ সৃষ্টি করে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ইভান পেরিসিচের বাড়ানো বলে জালে বল জড়িয়ে দলকে সমতায় ফেরান ফরোয়ার্ড ক্রামারিচ। গোল পেয়ে কানাডাকে চেপে ধরে ক্রোয়েশিয়া। প্রথম গোলের পর ৮ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোল করেন লিভাজার। জুরানোভিচের এসিস্টে দলকে লিড এনে দেন এই ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ক্রোয়েটরা। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চালকের আসনে থাকে ক্রোয়েশিয়া। আক্রমণের ধাঁর বজায় রেখে কানাডাকে কোণঠাসা করে রাখে লুকা মদ্রিচ-পারিসিচরা। ম্যাচের ৭০ মিনিটে পারিসিচের এসিস্টে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন ফরোয়ার্ড ক্রামারিচ।
এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ওর্সিচের বাড়ানো বলে কানাডার জালে জয়সূচক গোলটি করেন মাজের। ফলে, ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লুকা মদ্রিচরা। এই জয়ের ফলে রাউন্ড অব সিক্সটিনথ এর আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ক্রোয়েশিয়ার। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে হারার পর ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলের পরাজয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো কানাডা।