বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না সরকার। তবে একজন মানুষও আঘাতপ্রাপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ীই জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কেউ না এলে সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভোট চুরি মেনে নেয় না।
সরকার প্রধান বলেন, যেকোনো অর্জনে নারীদের অবদান রয়েছে, অবদান থাকতে হবে৷ নারীর ক্ষমতায়নের বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকার। আগে মেয়েরা ডিসি-এসপি হতে পারতো না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নারীদের সচিব থেকে শুরু করে সকল জায়গায় মূল্যায়ন করেছে। অনেকে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের আটকে রাখার কথা বলে। কিন্তু নারীর সমান অধিকারের কথা ধর্মেই বলা আছে।
তিনি আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর করে দিচ্ছি। সেখানে নারী ও পুরুষকে সমান ভাগ দিচ্ছি। কেউ স্ত্রীকে ছেড়ে দিলে ওই বাড়ি হবে নারীর, পুরুষের নয়। যাতে নতুন ঘর পেয়ে কেউ নতুন বউ না নিয়ে আসে। মেয়েদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মেয়েরা স্বামীদের কাছে কত কিছু দাবি করে। আমার মাকে দেখিনি কোনো কিছু দাবি করতে। বরং তিনি বলতেন, তুমি তোমার কাজ করে যাও। সংসারসহ সব কিছু আমি দেখবো। বাবাকে যখন হত্যা করে, তখনও বলেছিলেন তাকে যেহেতু হত্যা করেছো, আমাকেও হত্যা করো।