আগুনের ভয়াবহতা থেকে দেশ ও পোশাক খাতকে বাঁচাতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) যুগ্ম সচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রতিটি স্কুলে শিশুদের ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতন করতে চায় সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অষ্টম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, চকবাজারের নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ তাজরীন ফ্যাশনে আগুনে কর্মীদের মৃত্যুর ঘনটা সারাদেশে নাড়া দিয়ে ওঠে। কিন্তু এর সমাধানে কেনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। স্কুলে বাচ্চাদের এ বিষয়ে সচেতন করতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করছি, পাঠ্যপুস্তকেও ফায়ার সেফটির বিষয়টি সংযুক্ত করতে পারব। এই খাতকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরব।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সেফটির কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্প-কারখানা রেগুলার মনিটরিং করতে হবে। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করছে, বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সেফটির বিষয়ে সতর্কতা জরুরি। সচেতনতার জন্য রেগুলার ট্রেনিং দিতে হবে। বিনিয়োগ করতে হবে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি- আগুন ধরার অন্যতম কারণ গ্যাস লাইন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রতিবছর ইলেকট্রিক ও লিফট মেইনটেইন করতে হয়। এটা আমাদের জন্য নতুন মনে হতে পারে, কিন্তু পাশের দেশ ভারত-শ্রীলঙ্কা এগুলো রেগুলার করে থাকে।
উল্লেখ্য, ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকংসহ ৩০টিরও বেশি দেশের ১৬০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশ নিয়েছে।