দেশের বর্তমান সরকার পাকিস্তানিদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘৭০ সালে পাকিস্তানিরা তৎকালীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় যেতে দেয়নি। বর্তমানের সরকার পাকিস্তানিদের থেকেও বেশি ভয়ংকর, কারণ তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই রাখে না। এসব লোক রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট, অর্থ লুটপাট, গুম-খুন করে। তাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় না থেকে জেলে থাকার কথা ছিল। অর্থাৎ যাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কথা তারা জেলখানায়। আর নাহলে তারা নিখোঁজ। অথবা তারা দেশান্তরী হয়েছেন। আর যাদের জেলে থাকার কথা তারা এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে। এটাই হচ্ছে বর্তমানের বাস্তবতা। এটা যদি কেউ শিকার করতে না চান, তাহলে আমার আর বলার কিছু থাকবে না।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
গণসমাবেশগুলোয় এমন কোনো কষ্ট নেই যে সরকার বিএনপিকে দেয়নি দাবি করে দুদু বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতার শক্তি নিয়ে যশোরে গিয়ে আপনি স্টেডিয়াম এবং কলেজের যে প্রাচীর ছিল রাতারাতি তা ভেঙ্গে ফেলেছেন। আর আমাদের সভা করতে গিয়ে এহেন বাধা নেই, এহেন কষ্ট নেই, এহেন নির্যাতন নেই যে রাষ্ট্রের সরকার, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ আমাদের উপর করেনি।
এই সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের প্রত্যাশা নেই উল্লেখ করে দুদু বলেন, এ সরকারের কাছে আমাদের কোনো ধরনের প্রত্যাশা নেই। একটি কাজ আপনারা (আওয়ামী লীগ) করেন, তাহলে আপনার সম্মান থাকবে। দেশের সম্মানও থাকবে। দেশ স্থিতিশীল থাকবে। কাজ আপনার একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করানো। এই পদত্যাগ যদি না করেন তাহলে দেশের যেই পরিস্থিতি তৈরি হবে তার দায় দায়িত্ব আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। তাই বলব পদত্যাগ করেন। নির্বাচন কমিশন পুনঃর্গঠন করেন। এর বাইরে আপনার কোনো কাজ নাই। আর এর বাইরে যদি কোনো কাজ আছে বলে মনে করেন তাহলে সে কাজ করবে বিএনপি বা বিরোধী দল।
সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন আগামী ১০ (ডিসেম্বর) তারিখ কি হবে। ১০ তারিখের পরে কি হবে বা আগে কি হবে। এই সরকার আগেও যেতে পারে পরেও যতে পারে। বিষয়টি হচ্ছে এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে মানুষ কোনো কিছু প্রত্যাশা করেন না। এই টাই হচ্ছে এদেশের বর্তমান বাস্তবতা। জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. কুদ্দুস আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।