দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া সাত দিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞার তৃতীয়দিন চলছে আজ। এ সময়ে ১১টি বিধিনিষেধও দিয়েছিল সরকার। এর মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে তা পুনরায় চালু হয়েছে। সড়কে গণপরিবহন চালুর সঙ্গে সঙ্গে এ কঠোর নিষেধাজ্ঞার সময়েও স্বস্তি ফিরেছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। দেখা যায়নি করোনা ও বিধিনিষেধের চিরচেনা সেই আতঙ্ক।
বুধবার দুপুরে রামপুরা ও মধুবাগ বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগের মতোই দেখা গেছে। রামপুরা বাজার সংলগ্ন মুদি দোকানি মাহিন বলেন, ‘লকডাউনের খবরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল তা এখন নেই বলা যায়। জিনিসপত্রের দামও আগের মতোই আছে। বরং কোনো কোনো পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। ক্রেতাদের উপস্থিতিও স্বাভাবিক।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০, রসুন ১১০ থেকে ১২৯, আদা ১৫০ থেকে ১৬০, ছোলা ৭৫ থেকে ৮০ এবং দেশি মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫। অন্যদিকে, গরুর মাংস ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা, মুরগির ডিমের ডজন প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, সোনালি মুরগি কেজি ৩১০ থেকে ৩১৫ এবং লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। চাষের মাছ খানিকটা কম হলেও ইলিশসহ সবরকম নদীর মাছের দাম বেশ চড়া।
যদিও রমজানের খবরে তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে আগেই। অন্যদিকে, চালের বাজারে বেশ কয়েকজন বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেজিপ্রতি মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫, আটাশ বালাম ৫৫ থেকে ৫৮, পাইজাম ৫০, গুটি স্বর্ণা ৪৮, চিনিগুড়া ৯০ থেকে ৯৫ ও বাসমতি ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপুরায় চাল বিক্রেতা আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে গতকাল থেকে বাজারে স্বস্তি মিলেছে।’ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত শনিবার (৩ এপ্রিল) সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়ে নতুন নির্দেশনা দেয় সরকার। এতে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ বিধিনিষেধ মেনে চলার বিষয়ে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে গতকাল (৬ এপ্রিল) গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।