প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ধর্ম যার যার কিন্তু বাংলাদেশ আমাদের সবার। রাষ্ট্র সবার না হলে নাগরিকরা রাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্বতা অনুভব করতে পারবে না। ফলে রাষ্ট্র নাগরিকদের থেকে আনুগত্য আশা করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেছেন অ্যাডভোকেট দীপায়ন চন্দ্র সাহা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পথ দেখাতে সাহায্য করে এবং আধ্যাতিকতার পরিপূর্ণতা দান করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, এ দেশের সব মানুষের ধর্ম ও নিরাপত্তার অধিকার সমান। আইনের বিচার সব ধর্মই সমান মর্যাদার সম্পন্ন। তাই যে কোনো ধর্ম অবমাননা বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধর্মের জন্য সব চেয়ে বিপদজনক হলো অজ্ঞতা। এ অজ্ঞতাই মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ যদি নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ সঠিকভাবে, খোলা মন নিয়ে পাঠ করে, সেই সঙ্গে ধর্মীয় বিধানগুলোর হৃদয়াঙ্গম করে, তাহলে অজ্ঞতার অন্ধকার কেটে যাবে। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সংস্কৃতি সব ধর্মকে ও মানুষকে এক সারিতে আনতে পেরেছে বলে সব ভেদাভেদ ভুলে ভাষার জন্য আন্দোলন করে আমরা জয়ী হয়েছি। বাংলাদেশের সবার গৌরবদিপ্ত অহংকার হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ।