অবশেষে ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে রাজি হল আমেরিকা। এ বিষয়ে এরই মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাগদাদ ও ওয়াশিংটন। বুধবার এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে দেশ দুটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাক থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। মার্কিন সরকার মনে করছে, ইরাকি সেনাদের যুদ্ধ করার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের আমলে ইরাক ও আমেরিকার প্রথম কৌশলগত আলোচনার পর সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরাকে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কিছু সেনা থাকবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ইরাক থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল কিন্তু ২০১৪ সালে ইরাকে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আবার সেসব সেনা ফিরিয়ে আনা হয়।
ইরাকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য ব্যাপক চাপ রয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মার্কিন বাহিনী ইরাকের মাটিতে সন্ত্রাসী কায়দায় শহীদ করার পর এই চাপ বাড়তে থাকে। মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও শহীদ হন।