ঢাকা-ফুকেট রুটে সরাসরি ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তাব দিয়েছেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবদুল হাই। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের ফুকেট প্রদেশের গভর্নর নারং উনসিউয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দেন। তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। গভর্নর ফুকেটের পর্যটন খাত সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
বৈঠকে দুই দেশের পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণ এবং ঢাকা-ফুকেট-ঢাকা এবং দুই দেশের পযর্টন নগরী কক্সবাজার-ফুকেটের মধ্যে পর্যটনের নতুন অপার সম্ভাবনায় সরাসরি ফ্লাইট চালুকরণের সম্ভাব্যতার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবনাসমূহ সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন গভর্নর।
কোভিডকালে ফুকেটের বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূত ফুকেট গভর্নরকে ধন্যবাদ জানান। গভর্নর বলেন, ফুকেটের বেশ কিছু অংশ মুসলিম অধ্যুষিত। বাংলাদেশি মুসলমান পর্যটকদের জন্য এখানে হালাল খাবার পাওয়া সহজ। আর তাই ফুকেট বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান হতে পারে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারও পর্যটন নগরী হিসেবে আরও বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে ফুকেটের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে রাষ্ট্রদূত মো. আবদুল হাই উল্লেখ করেন। থাইল্যান্ড ২০২৮ সালের বিশেষ এক্সপো ফুকেট এ আয়োজনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছে। এ নির্বাচন ২০২৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি থাইল্যান্ডের উক্ত মনোনয়নে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
বৈঠকে ফুকেট প্রদেশের গভর্নরের সঙ্গে ফুকেট পর্যটন কর্তৃপক্ষের পরিচালক, ফুকেট পর্যটন ব্যবসা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, ফুকেট বহিরাগমন দপ্তরের প্রধানসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নির্ঝর অধিকারী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।