কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বা অধিনায়ক লিওনেল মেসি যতই অগ্রাহ্য করতে চান না কেন, আর্জেন্টিনা এবারের বিশ্বকাপের হট ফেভারিটই। গ্রুপ পর্বে যদি প্রত্যাশা পূরণ করে সেরা দল হয়েই নকআউটে যায় শেষ ষোলোয়, তাহলে সেখানে দলটির সামনে পড়তে পারে ডেনমার্ক।
তবে গেল ইউরোর সেমিফাইনালিস্ট এই দল আছে দারুণ ফর্মে। যদি শেষ ষোলোয় দুই দলের দেখা হয়েই যায়, তাদের বিপক্ষে লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না মেসিদের জন্য। এবার দলটির মিডফিল্ডার মিকেল ডামসগার্ডের কণ্ঠেও ঝরে পড়ল একই সুর। জানালেন, তাদের মুখোমুখি কোনো দলই হতে চাইবে না; যাদের ওপর প্রত্যাশার চাপ বেশি, সেই বড় দলগুলোও নয়।
ডেনমার্ক এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট নয় মোটেও। তবে দলটা যে ফেলনা নয় একেবারে, সেটার আঁচ পাওয়া যায় দলটির সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স থেকে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে কয়দিন আগেই হারিয়েছে দলটি। ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলেও লড়েছে বুক চিতিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপে দলটি স্কোয়াড গড়েছে তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেলে। গেল ইউরোয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে যার বেঁচে থাকাই পড়ে গিয়েছিল শঙ্কায়, সেই ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনও দলটিতে আছেন, তাও আবার আগুনে ফর্ম নিয়ে অপেক্ষায় আছেন বিশ্বকাপের। ইউরো ২০২০-এ তার সেই ঘটনা দলটাকে এক সুতোয় বেধেছে আরও।
তার ছাপ ইউরোয় তো পড়েছেই, এরপরের পারফর্ম্যান্সের পেছনেও নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে দলটির একতা। সে কারণেই ডামসগার্ডের বিশ্বাস, তার দলের মুখোমুখি হতে চাইবেন না কেউ। তিনি বলেন, ‘ইউরোয় আর বাছাইপর্বে আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে অনেক দলই আমাদের বিষয়ে উঁচু মনোভাব পোষণ করে। কেউ আমাদের খাটো করে দেখতে চাইবে না। আমরা শীর্ষ মানের দল নয়, কিন্তু আমরা খুবই ভালো একটা দল, যে কারোর বিপক্ষে লড়াইয়ে প্রস্তুত আমরা।’
এরপরই বললেন বড় দলগুলোর ভয়ের কথাটা, ‘আমরা ফেভারিট নই। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের মুখোমুখি কোনো দলই হতে চাইবে না। আমি মনে করি বড় দলগুলোও এমন কিছু চায় না।’
ডেনমার্ক আছে প্রতিযোগিতার ডি গ্রুপে। সেখানে দলটি প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে তিউনিসিয়ার। ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় হবে ম্যাচটি। এরপর দলটি খেলবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স আর সাবেক এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।