ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতে গ্রেফতার হয়েছেন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বরসহ ৪ জন। কাস্টমার কেয়ারের নম্বর ক্লোন করে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহকের কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেয়া একটি চক্রের মূলহোতা এ রেজাউল। মূলত মোবাইল ফোন কল ও মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার কারণে এ চক্রটি ‘হ্যালো পার্টি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা মহানগরীর পান্থপথ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ও ৩০টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। রেজাউল ছাড়া গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন নাঈম হোসেন (২৫), দিদার মুন্সী (৪২) ও মো. জাহিদুল খান (২৪)।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এরা সবাই ‘হ্যালো পার্টির’ সদস্য। বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করে কাস্টমার কেয়ারের নম্বর ক্লোন করে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহককে ফোন দিয়ে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য নেয়ার নামে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয় চক্রটি। একবার পাসওয়ার্ড পেলেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের অর্থ সাথে সাথে সরিয়ে নেয় এরা। কার্ড হোল্ডারের নাম-ঠিকানা সবই তাদের জানা থাকে। ফলে খুব সহজে বিশ্বাস করেন গ্রাহকও।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের তথ্য সরবরাহের কাজটি করে থাকে। বড় বড় কোম্পানির ম্যানেজারের কাছে তাদের অফিসের কর্তা সেজে কার্ডের তথ্য তারা নিয়ে নিচ্ছে।
কিছুদিন আগেও বিকাশ প্রতারণার দায়ে আটক করা হয় ‘হ্যালো পার্টি’র মূল হোতা রেজাউল মাতুব্বরকে। তার এমন প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তিনি দু’দিন আগে আটক হওয়ার কথা জেনেছি। ভাঙ্গা থানায় এর আগে তার নামে বেশ কিছু মামলা ছিল।