যশোরে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আকবর। সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে তার মরদেহ যশোর শহরতলীর সুজালপুরে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। জহরবাদ শহরের ধর্মতলা মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে আকবরকে শায়িত করা হয়।
এর আগে দুপুরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। শেষ দেখা দেখতে বাড়িতে ভিড় করে দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারও মানুষ।
আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা জানান, ২০০৩ সাল থেকেই তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। বছর পাঁচেক আগে কিডনির সমস্যা বেড়ে গেলে স্টেজ শো বাদ দিতে হয় তাকে। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে। পায়ে পচন ধরার কারণে অস্ত্রোপচার করে ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকবর। সেখান থেকে ১৯ অক্টোবর তাকে বাসায় নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আকবর।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে যশোর এমএম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। সেই গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাগেরহাটের এক ব্যক্তি হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লিখে এই গায়কের কথা জানান। এরপর ‘ইত্যাদি’ কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বছর ‘ইত্যাদিতে’ কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে। পরে প্রথম মৌলিক গান ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় আকবরকে।