আগাম নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) লং মার্চে ইমরান খানের উপর হামলা করেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটার পরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে পিটিআই। কিন্তু এ আবেদন গ্রহণ না করায় মামলা নিয়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
পরে মামলার আবেদন থেকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইের শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সালের নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তখন থেকেই এর বিরোধিতা করছেন ইমরান খান ও তার দলের নেতারা।
সোমবার (৭ নভেম্বর) প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি নথিভুক্ত করতে পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান আইজি ফয়সাল শাহকারকে নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি বান্দিয়াল পাঞ্জাব পুলিশ প্রধানকে, একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তাকে এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এসময় শাহকার আদালতকে জানান, এ মামলা নথিভুক্ত করা নিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহির আপত্তি ছিল। তাছাড়া এক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে বলে জানান তিনি। বিচারপতি বান্দিয়াল এসময় আইজিকে আইন অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও জানান, যদি এফআইআর নিতে দেরি হয় তবে মামলাটি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া হবে।
পুলিশের নথিভুক্তি নিয়ে কোনো মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি করতে পারেন না। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআরটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করা হয়, তাহলে আদালতের পক্ষ থেকে আইনি নোটিস দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি। ইসলামাবাদ অভিমুখে পিটিআইয়ের লং মার্চের সপ্তম দিনে গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় তিনি ছাড়াও অন্তত সাত পিটিআই নেতা আহত হন। ইমরান খান এ হামলাকে হত্যা চেষ্টা দাবি করে জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে শুধু ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা বন্দুকধারীর নাম রাখা হয়েছে। তারা এটা মানেন না।