আগামী ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। ওই দিনটিকে ঘিরে আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। বিভাগীয় শহর ছাড়া উপজেলা পর্যায়েও চলছে গোয়েন্দা নজরদারি। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে সময় অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর জন্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি এবং স্থগিত মামলা সচলের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। যেসব মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে বা অন্য কোনও কারণে স্থগিত রয়েছে সেগুলো সচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অতীতের রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোথাও কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করলে সেগুলোকে চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে কোনও কুচক্রী মহল যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে বিষয়েও সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা করলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কোনও গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল করতে কেউ যেন সুযোগ না পায় সে জন্য বাড়ানো হয়েছে সাইবার মনিটরিং। থানাগুলোকে পেট্রোলিং বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম তথ্য সংগ্রহ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি এবং নিত্য নতুন আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন যেকোনও আগাম তথ্য পেতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখার এআইজি মানজুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য যে ধরনের কার্যক্রম থাকা প্রয়োজন সে অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনও নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।