রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যারও বিচার হবে। এ লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁকে রক্ষা করেছেন নিজের হাতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ৭ নভেম্বর একটা বিপ্লবের নাম করে এই যে কত সন্তানের বাবাকে হত্যা করা হলো। তাদের ডেডবডি কোথায়, সেটিও তাদের পরিবার জানে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। তাদের মৃত্যুর পর ডেডবডি তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটাও ওই বিপ্লবের সময় হত্যার স্বীকার হওয়া সন্তানদের ভাগ্যে জোটেনি। তারা আজ এই হত্যার বিচার চাইছে। তারাই হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে।
তিনি বলেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা, তাদের একটি বিরূপ অবস্থানে দাঁড় করানো, এই ষড়যন্ত্র, এই রক্তের হোলি খেলা যারা করছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য একটা তদন্ত কমিটি হচ্ছে।