ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘তারুণ্যের শক্তিই বাংলাদেশের সংবিধানকে বাস্তবে রূপদান করেছে। তরুণ জনতার কারণেই সংবিধান ৫০ বছর পরেও টিকে আছে। আসলে তারুণ্যের শক্তিই সংবিধানের রক্ষাকবচ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগ আয়োজিত ‘আমরা, বাংলাদেশের জনগণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে বড় দলগুলো নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে। তারা জনগণের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখছে না। তবে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় সবচেয়ে বড় শক্তি সচেতন নাগরিক। কেউ যাতে সংবিধান লঙ্ঘন না করতে পারে-এ ব্যাপারে দেশের জনগণকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে সচেতন থাকতে হবে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যদি কোনো সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ না করে তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু বড় দলগুলোর কাছে মানুষ এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। দলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় মানুষ স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারছে না।’
সেমিনারে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ বর্তমানে একটি আপ্তবাক্যে পরিণত হয়েছে। এটি এখন শুধু বলার জন্য বলা হয়ে থাকে। সংবিধানের বেশির ভাগ সংশোধনী শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছায় হয়েছে, জনগণের ইচ্ছায় নয়। সব সরকার নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করেছে। তাই প্রতিটি সরকার সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।’
আলোচনা সভায় সহযোগী অধ্যাপক শাকিল আহমেদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবর হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি তারানা বেগম, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন ও সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।