টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে অন্তত তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। এ নিয়ে দুই দিনে এখন পর্যন্ত ২৬টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল কিম প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সতর্কতা জারি করে জাপান। বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেনও। খবর রয়টার্সের
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উপর দিয়ে সম্ভাব্য গতিপথে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। তবে এটি জাপান সাগরের উপর দিয়ে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
হামাদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শনাক্ত করেছি। এটির জাপানের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তাই এলার্ট জারি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি জাপানের ওপর দিয়ে যায়নি বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার (১২০০ মাইল) উচ্চতায় ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দূরত্বে উড়েছিল। সাধারণত এমন ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিবেশি দেশগুলোর রাডার থেকে বাঁচাতে অনেক উঁচু দিয়ে ছোড়া হয়।
প্রথম উৎক্ষেপণের প্রায় আধা ঘণ্টা পর জাপানের কোস্টগার্ড জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়ে গেছে। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে যে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি স্টেজ সেপারেশনের মধ্য দিয়ে গেছে। এটি একটি আইসিবিএম-এর মতো দূরপাল্লার অস্ত্র হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
প্রথম উৎক্ষেপণের প্রায় এক ঘণ্টা পর, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এবং জাপানি কোস্ট গার্ড উত্তর কোরিয়া থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উৎক্ষেপণের খবর দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে যে, দুটিই পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরে কাইচন থেকে ছোঁড়া স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
এর আগে বুধবার অন্তত ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া।