রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যেই জেলজত্যা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান। খায়রুজ্জামান লিটন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে।
মেয়র লিটন বলেন,৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির গভীর বেদনার দিন। জাতি দিনটিকে জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালনের মাধ্যমে জাতীয় চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান ভূমিকায় থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী জাতীয় শত্রু ও ঘাতকরা রক্তে অর্জিত বাঙালির রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংসের হীন উদ্দেশ্যেই দেশপ্রেমিকদের হত্যা করেছিল।
মেয়র লিটন বলেন, দেশের মানুষ সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। দেশের মানুষের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। সবাইকে জাতীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে সচেতন ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান লিটন।
এদিকে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস পালন করবে রাসিক। সকালে নগর ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
কালো ব্যাজ ধারণ এবং নগর ভবন থেকে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মাজার পর্যন্ত শোক র্যালি ও মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত। শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মাজার চত্বরে মাদ্রাসাছাত্রদের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।