ইউক্রেনে আবারও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে কিয়েভের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। খবর এএফপির।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জানিয়েছে, দেশটির জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫০টির বেশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এসময় শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন স্থান।
মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে বলেছেন, কিয়েভে এই মুহূর্তে জরুরি পরিস্থিতির কারণে ৮০ শতাংশ বাসিন্দা পানিবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। প্রকৌশলীরা সাড়ে তিন লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করতে কাজ করছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ৮টা ২০ মিনিটের ভেতর অন্তত পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা।
ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন, দেশটির সাতটি অঞ্চলের অসংখ্য বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্সির উপ-প্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো বলেছেন, রুশ সন্ত্রাসীরা আবারও বিদ্যুৎ স্থাপনায় ব্যাপক হামলা শুরু করেছে।
শস্য চুক্তি
সোমবারের এই হামলার দুদিন আগেই ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়া শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার গোষণা দেয় রাশিয়া। গত জুলাইয়ে যুদ্ধরত দুই দেশের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত ওই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছিল জাতিসংঘ ও তুরস্ক।
কিন্তু গত শনিবার রাশিয়া সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয়। তার আগে কিয়েভের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে ব্যাপক ড্রোন হামলার অভিযোগ তোলে মস্কো। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।
সম্প্রতি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ক্রিমিয়া সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায়ও ইউক্রেনের দিকেই আঙুল তুলেছিল রাশিয়া।
এদিকে, একটি সামুদ্রিক ট্রাফিক ওয়েবসাইট বলছে, রাশিয়া শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও সোমবার শস্যভর্তি দুটি জাহাজ ইউক্রেনীয় বন্দর ছেড়েছে।
শস্য চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বলছে, সোমবার মোট ১২টি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছাড়ার কথা এবং চারটি জাহাজ ফেরার কথা রয়েছে।