গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা ভারতীয় হাজতি তারেক বাইন (৬০) মারা গেছেন। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তারেক বাইন। তিনি ভারতের পশ্চিম বিহার সোনার গ্রামের মরন বাইনের ছেলে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক অসিত কুমার মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় নাগরিক তারেক বাইন শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। সোমবার তাকে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, তারেক বাইনকে জাজিরা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এরপর জাজিরা থানার মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে ২০২১ সালের ৯ জুলাই শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়। সোমবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
জেল সুপার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষ ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।