বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভিনের স্বামীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে শামিম আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বয়স কম বিবেচনায় শামিম আলমের ছেলে আলিফকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইউএনও’র বাস ভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান জানান, ইউএনও’র গাড়ি চালক ফেরদৌস হোসেন শনিবার রাতে আটক শামিম আলমের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বয়স ১৮ এর নীচে হওয়ায় মামলায় শামিম আলমের ছেলে আলিফের নাম না দেয়ায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে হয়। গতকাল রোববার গ্রেফতার শামিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বগুড়া জেলা আনসার অ্যাডজুটেন্ট ফিরোজ আহম্মেদ জানান,সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদা পারভীনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিনজন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করে নতুন করে তিনজন আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভিন বলেন, ১০ জন আনসার সদস্যের একটি টীম সময় ভাগাভাগি করে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শনিবারের ঘটনার সময় গেটে এবং বাসায় দায়িত্বে ছিলেন জামিরুল, ইমারত এবং মোখলেস নামের তিন আনসার সদস্য। আমি তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনলে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র বাস ভবনের সামনে ব্যাটমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে ইউএনও’র স্বামী আল আমিন শিকদারকে মারধর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামিম আলম। এঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ শামিম আলম ও তার ছেলে আলিফকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।